অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। এসব বিষয় তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে ‘সেভ ফিউচার বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট’ শীর্ষক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— জরুরিভাবে বিজ্ঞান ভিত্তিক জলবায়ু পদক্ষেপ নিতে হবে, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে, জলবায়ু শরণার্থীদের টেকসই পুনর্বাসন করতে হবে, উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে, উপকূল জুড়ে টেকসই ব্লক বাঁধ নির্মাণ এবং বনায়ন তৈরি করতে হবে, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর উন্নয়ন প্রকল্প এবং দেশজুড়ে পরিবেশ দূষণকারী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, দেশের পাহাড়-টিলা, বনাঞ্চল, গাছ-পালা, বন্যপ্রাণী এবং নদী, জলাশয় রক্ষা করতে হবে এবং পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানববন্ধনে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বায়ক নয়ন সরকার বলেন, সারা বিশ্বের তরুণদের মতো আমরা বাংলাদেশের তরুণেরাও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য আজ রাস্তায় নেমে জলবায়ু ধর্মঘট করছি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা দিনকে দিন বাড়ছে, আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির শেষ চাই। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি চাই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু কর্মী আতিউল ইসলাম প্রামাণিক বাবু, মিডিয়া সমন্বয়ক রাকিবুল ইসলাম তন্ময় প্রমুখ।
Leave a Reply